ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে শিবির সমর্থিত প্যানেলের ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) প্রার্থী সাদিক কায়েম অভিযোগ করেছেন, ডাকসুর নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় আবারও ‘হাসিনার পথ’ অনুসরণের চেষ্টা হচ্ছে।
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “গত ১৬ বছর ধরে শেখ হাসিনা স্বৈরাচারী কায়দায় টিকে ছিল মূলত প্রপাগান্ডা ও ন্যারেটিভ দাঁড় করিয়ে। এখন সেই একই কৌশল এখানে প্রয়োগ করা হচ্ছে। আপনারা কি তবে আবার হাসিনার পথ বেছে নিলেন?”
জহুরুল হক হলের একজন শিক্ষার্থী নারীকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করার পর প্রথমেই প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন তারা, দাবি করেন সাদিক। তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে এবং লিখিত অভিযোগ দিয়েও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু উল্টোভাবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে দায়মুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
“অপরাধীর বিচার না করে তাকে শিবির নেতা বানিয়ে ফ্রেমিং করা হচ্ছে। এটা কি ভণ্ডামি নয়? ন্যায়বিচার না দিয়ে রাজনৈতিক ট্যাগ লাগিয়ে দোষ আড়াল করার চেষ্টা চলছে,” বলেন ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম।
এদিকে, হাইকোর্টে এসএম ফরহাদের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জকারী এক প্রার্থীকে ‘গণধর্ষণের হুমকি’ দেওয়ার অভিযোগে আলোচনায় আসেন ঢাবির শিক্ষার্থী আলী হুসেন। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এ ঘটনার প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভ করে। তবে শিবির দাবি করেছে, আলী হুসেন তাদের সংগঠনের কেউ নন।
শিবির জানায়, তিন বামপন্থী ছাত্রসংগঠন সমর্থিত “অপরাজেয় ৭১, অদম্য ২৪” প্যানেলের প্রার্থী ফাহমিদা আলমকে হুমকি দেওয়া আলী হুসেন তাদের সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নন। বিষয়টির তদন্তে তারা নিজেরাও প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছে।
এছাড়া আলী হুসেনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্টে ছাত্রদলের সমর্থনের ছাপ রয়েছে বলে দাবি করেছে শিবির। ইতোমধ্যেই ঘটনাটি তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর দপ্তর এবং ডাকসুর প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় দুটি আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।